গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমি গভীরভাবে চিন্তা করছি—“কুরআনিক ব্যক্তিত্ব” নিয়ে কী লিখা যায়? কীভাবে এটি মূল্যায়ন করব? এমন কী বিষয় আছে যা আমি আপনাদের, সম্মানিত পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে পারি, যা অন্তত অল্প পরিমাণেও আপনাদের (এবং অবশ্যই আমার নিজেকেও) সাহায্য করবে—আমাদের প্রতিপালকের বাণীর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলতে, তা থেকে শান্তি খুঁজে পেতে এবং তা বুঝতে?
আল্লাহ যথাসময়ে আমাদের নিয়ত ও আমাদের প্রয়োজনগুলো জানেন। বলে রাখা ভালো, কুরআনে আমার অন্যতম প্রিয় সূরা হলো সূরা ইউসুফ (عليه السلام)—যেখানে আলোচ্য মূল চরিত্র শুধু ইউসুফ (عليه السلام) নন, বরং তাঁর পিতা ইয়া‘কুব (عليه السلام)-ও এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহুবার এই সূরাটি শুনতে শুনতে হঠাৎ আমি উপলব্ধি করি—আল্লাহ এই মহান নবীদের জীবনের মধ্য দিয়ে আমাদের এমন সব শেখান, যা আজকের অস্থির ও চ্যালেঞ্জে ভরা যুগে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক।
আমরা কতবার পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছি, কিংবা কাউকে আমাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতে দেখেছি, যার কারণ হয়তো আমাদের অজানা, অথবা কখনো জানা। আমরা কতবার ভেবেছি—এই পরীক্ষার, একের পর এক বিপদের, শেষ কোথায়? আমরা কতবার এমন গভীর দুঃখ বা বেদনা অনুভব করেছি, যেন আর ফেরার কোনো পথ নেই?
আমরা কতবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি, বিশেষ করে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে? আবার আমরা কতবার শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কারো সঙ্গে সংঘর্ষ শেষে ক্ষমা করে দিয়েছি?
সূরা ইউসুফ আমাদের দেখায়—এই সবকিছু তাঁদের জীবনেও ঘটেছিল। আল্লাহ এগুলো শুধু “একটা সুন্দর গল্প” হিসেবে বলেননি যে আমরা পড়ব, মুগ্ধ হব এবং তারপর কুরআন রেখে দেব। বরং, এই সূরা একটি জীবন্ত অনুস্মারক (Reminder)—যার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনের পরীক্ষাগুলোকে নবীদের জীবন ও তাঁদের ধৈর্যের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। তাঁদের মতো করে সবর ও আন্তরিকতা অবলম্বন করে আমরাও সফল হতে পারি।
আজকের এই কঠিন সময়ে, অনেকেই ফিতনা ও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন, এবং তখন ঈমান দুইভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়—কেউ ঈমান হারান, সন্দেহে পড়ে যান, আবার কেউ সেই ঈমানকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরে ইস্তিকামাহ (استقامة) অবলম্বন করেন। এটা ঠিক, এই যুগে একজন মুসলিম হিসেবে টিকে থাকা কঠিন, চারদিকে এত ফিতনা ও দুর্নীতি। তবে বিশ্বাস করুন, আমাদের প্রিয় নবীগণও এ ধরনের কঠিনতম পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন—তাঁদের অনুভূতিগুলো আজও আমাদের সঙ্গে মিলে যায়, যদিও হাজার হাজার বছর পেরিয়ে গেছে।
ইউসুফ (عليه السلام) শিশু অবস্থাতেই বড় ধরনের পরীক্ষার সম্মুখীন হন। নিজের ভাইদেরই শত্রুতার শিকার হন—তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়, শেষমেশ তাঁকে কূপে ফেলে দেওয়া হয় এবং দাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হয় শুধুমাত্র হিংসার কারণে।
আল্লাহ বলেন:
ٱقْتُلُوا۟ يُوسُفَ أَوِ ٱطْرَحُوهُ أَرْضًۭا يَخْلُ لَكُمْ وَجْهُ أَبِيكُمْ وَتَكُونُوا۟ مِنۢ بَعْدِهِۦ قَوْمًۭا صَـٰلِحِينَ
“ইউসুফকে হত্যা করে ফেলো, কিংবা কোনো দূর দেশে ফেলে দাও, যাতে আমাদের পিতার মন শুধু আমাদের দিকেই নিবদ্ধ হয়। তারপর আমরা ভালো লোক হয়ে যাবো!” [সূরা ইউসুফ, আয়াত ৯]
ইউসুফ (عليه السلام)-এর ভাইয়েরা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল—তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। শেষমেশ, তাঁকে সামান্য মূল্যে বিক্রি করা হয় এবং অজানা এক দূর দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, তখন তিনি ছিলেন কেবল একজন শিশু।
প্রিয় পিতা ইয়া‘কুব (عليه السلام) ও ভাই বিনইয়ামিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, নিজের ঘরবাড়ি ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার যন্ত্রণা ও কষ্ট কতটা তীব্র ছিল তা কল্পনা করাও কঠিন—তবুও তিনি ধৈর্য ধরেছিলেন এবং অবিচল ছিলেন।
তাই যখন আমরা অন্যের দ্বারা অবিচার, নিপীড়ন বা এমনকি শারীরিক কষ্টের শিকার হই, তখন যেন আমরা মনে রাখি—আল্লাহর প্রতি ঈমান ও তাওয়াক্কুল আমাদের যেকোনো দুঃখ-কষ্ট পার করে দিতে পারে।
এক সময় ইউসুফ (عليه السلام) যখন মিসরে আল-‘আযীয-এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন, তখন আবার তিনি এক নতুন পরীক্ষার মুখোমুখি হন—এইবার আল-‘আযীয-এর স্ত্রী তাঁকে প্রলোভিত করার চেষ্টা করেন। তাঁকে অশ্লীল প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়, যেখানে তিনি বহু বছর অতিবাহিত করেন।
এই কঠিন মুহূর্তে ইউসুফ (عليه السلام) কী বলেছিলেন?
وَرَٰوَدَتْهُ ٱلَّتِى هُوَ فِى بَيْتِهَا عَن نَّفْسِهِۦ وَغَلَّقَتِ ٱلْأَبْوَٰبَ وَقَالَتْ هَيْتَ لَكَ ۚ قَالَ مَعَاذَ ٱللَّهِ ۖ إِنَّهُۥ رَبِّىٓ أَحْسَنَ مَثْوَاىَ ۖ إِنَّهُۥ لَا يُفْلِحُ ٱلظَّـٰلِمُونَ
“সে নারী, যার ঘরে ইউসুফ ছিলেন, তাঁকে প্রলুব্ধ করতে চাইল। সে দরজাগুলো ভালোভাবে বন্ধ করে বলল: ‘এসো আমার কাছে।’ ইউসুফ বললেন: ‘আল্লাহর পানাহ্! সে তো আমার মালিক, যিনি আমাকে উত্তমভাবে রাখছেন। নিশ্চয়ই জালিমরা সফল হয় না।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত ২৩]
আজ আমরা এমন এক সমাজে বাস করি, যেখানে হারাম ও অশ্লীলতা চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। নৈতিকতা, পর্দাহীনতা, কামপ্রবণতা, অশ্লীলতা, আত্মসংযমহীনতা—সবকিছুই যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
তবে এই পরীক্ষার জবাব আমরা পাই ইউসুফ (عليه السلام)-এর কাহিনীতে—যিনি সর্বদা আল্লাহর সচেতনতা (তাকওয়া) বজায় রেখেছিলেন।
মিথ্যা অভিযোগে কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে—সেখানে তিনি অপরাধীদের সঙ্গে দীর্ঘ বছর কাটান। এই অবস্থায় ইউসুফ (عليه السلام) কী করেন? তিনি কি আল্লাহর পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন? তিনি কি হাল ছেড়ে দিয়ে ঈমান হারিয়ে ফেলেছিলেন?
একদম না! বরং কারাগারে থাকা অবস্থায় তিনি তওহিদের দাওয়াহ দেন—কারাবাসীদের স্বপ্ন ব্যাখ্যা করার আগে তাদের আল্লাহর একত্ববাদ এবং কেবল তাঁরই ইবাদতের দিকে আহ্বান জানান। আল্লাহ বলেন:
يَـٰصَـٰحِبَىِ ٱلسِّجْنِ ءَأَرْبَابٌۭ مُّتَفَرِّقُونَ خَيْرٌ أَمِ ٱللَّهُ ٱلْوَٰحِدُ ٱلْقَهَّارُ - مَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ أَسْمَآءًۭ سَمَّيْتُمُوهَآ أَنتُمْ وَءَابَآؤُكُم مَّآ أَنزَلَ ٱللَّهُ بِهَا مِن سُلْطَـٰنٍ ۚ إِنِ ٱلْحُكْمُ إِلَّا لِلَّهِ ۚ أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوٓا۟ إِلَّآ إِيَّاهُ ۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
“হে আমার দুই কারাবন্দী সাথী! তোমাদের মতে বহুপ্রভু ভালো, নাকি একমাত্র আল্লাহ, যিনি পরাক্রমশালী? তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করো, তারা কেবল কিছু নাম, যেগুলো তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছো—আল্লাহ তাদের পক্ষে কোনো দলিল অবতীর্ণ করেননি। হুকুম তো কেবল আল্লাহরই। তিনি আদেশ করেছেন যেন শুধুমাত্র তাঁকেই ইবাদত করা হয়। এটিই সরল-সোজা দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত ৩৯–৪০]
যখন আমরা বিপদে পতিত হই কিংবা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হই, তখন কি আমরা আল্লাহকে প্রশ্ন করি—আমরা কী এমন করলাম যে এরকম অবস্থা আমাদের উপর নেমে এল? নাকি আমরা ইউসুফ (عليه السلام)-এর আদর্শ অনুসরণ করে তওহিদে আমাদের বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করি এবং ধৈর্যের সাথে আল্লাহর ক্বদরের সামনে অবিচল থাকি?
ইউসুফ (عليه السلام) তো এমন কিছুই করেননি যার কারণে তিনি তাঁর ভাইদের দ্বারা ত্যাজ্য হয়ে জেলখানায় যেতে “অপাত্র” হতেন। এটা ছিল আল্লাহর ক্বদর—এটাই তাঁর জন্য নির্ধারিত ছিল। আমাদের জীবনেও এমন অনেক কঠিন সময় আসে যা আমরা বুঝতে পারি না, কিন্তু আমাদের বিশ্বাস থাকা উচিত যে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ভালোবাসেন এবং তাদের জন্য শুধুমাত্র কল্যাণই চান।
বহু বছর মিসরে কাটিয়ে, স্বাধীনতা অর্জনের পর এবং নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার পর, ইউসুফ (عليه السلام) তাঁর ভাইদের মুখোমুখি হন। এইবার তাঁর হাতে ছিল ক্ষমতা এবং সুযোগ, চাইলে তিনি প্রতিশোধ নিতে পারতেন, যা তাঁদের কৃতকর্মের পরিপ্রেক্ষিতে “ন্যায়সঙ্গত” বলেই মনে হতো। তবুও তিনি ক্ষমা বেছে নিয়েছিলেন, বড়ত্ব দেখিয়েছিলেন এবং ভাইদের দোষারোপ করেননি।
আল্লাহ তা’আলা কুরআনে এই মহানুভবতা উল্লেখ করেছেন:
قَالَ لَا تَثْرِيبَ عَلَيْكُمُ ٱلْيَوْمَ ۖ يَغْفِرُ ٱللَّهُ لَكُمْ ۖ وَهُوَ أَرْحَمُ ٱلرَّٰحِمِينَ
“আজ তোমাদের প্রতি কোনো অভিযোগ নেই। আল্লাহ যেন তোমাদের ক্ষমা করেন। আর তিনি তো সর্বশ্রেষ্ঠ দয়াবান।”
[সূরা ইউসুফ, আয়াত ৯২]
একজন মুসলিমের পরিচয় তখনই প্রকাশ পায়, যখন সে নিজে কষ্ট পেলেও ক্ষমা করতে জানে—ঠিক যেমন সে আল্লাহর নিকট কিয়ামতের দিন ক্ষমা চায়। এটা সহজ নয়, কিন্তু আমাদের জন্য এক অনুপম আদর্শ হচ্ছেন ইউসুফ (عليه السلام)।
চরম দুঃখ ও বেদনাও জীবনের অংশ। আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই কোনো না কোনো সময় এ ধরণের বেদনা অনুভব করে। কিন্তু এই দুঃখ-কষ্টকে আমরা কীভাবে গ্রহণ করি, সেটাই আমাদের প্রকৃত অবস্থান নির্ধারণ করে।
ইউসুফ (عليه السلام)-এর পিতা ইয়া‘কুব (عليه السلام) এর দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রিয় পুত্র ইউসুফ (عليه السلام)-কে হারিয়ে তিনি এতটাই কষ্ট পেয়েছিলেন যে তাঁর দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেন। তখন কেউ তাঁকে সান্ত্বনা দিতে পারেনি—তিনি কেবল আল্লাহর কাছেই মন খুলে অভিযোগ করেছিলেন। কুরআনে বলা হয়েছে:
قَالَ إِنَّمَآ أَشْكُوا۟ بَثِّى وَحُزْنِىٓ إِلَى ٱللَّهِ وَأَعْلَمُ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَا تَعْلَمُونَ
“আমি আমার দুঃখ-কষ্ট কেবল আল্লাহর কাছেই প্রকাশ করি, আর আমি আল্লাহর কাছ থেকে এমন কিছু জানি যা তোমরা জানো না।” [সূরা ইউসুফ, আয়াত ৮৬]
এতেই আমরা শিখি—চরম দুঃখে একমাত্র আল্লাহই আমাদের আশ্রয়। আমাদের প্রয়োজনের সময় আমরা আল্লাহর দিকে ফিরে যাই, কিন্তু ইয়া‘কুব (عليه السلام) কেবল দুঃখের সময়ই নয়—সুখের সময়ও আল্লাহকে ভুলে যেতেন না।
সুতরাং এটা আমাদের জন্য বড় একটি শিক্ষা—আমরা যেন শুধু দুর্দশার সময় আল্লাহর স্মরণ না করি, বরং প্রতিটি অবস্থাতেই—সুখ-দুঃখ, স্বচ্ছলতা-সংকট—আল্লাহর স্মরণ ও কৃতজ্ঞতায় নিজেকে ব্যস্ত রাখি।
আল্লাহ বলেন:
فَٱذْكُرُونِىٓ أَذْكُرْكُمْ وَٱشْكُرُوا۟ لِى وَلَا تَكْفُرُونِ
“তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমি তোমাদের স্মরণ করব। আর আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও, অকৃতজ্ঞ হয়ো না।”
[সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫২]
ইউসুফ (عليه السلام)-এর কাহিনী থেকে আমরা অসংখ্য শিক্ষা পাই, যা আল্লাহ আমাদের জন্য কুরআনে বর্ণনা করেছেন। এতে আমরা এমন মহান মানুষদের দেখি—যারা নবী হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মতোই মানবিক ছিলেন। তারা জীবনে কষ্ট, দুঃখ, উদ্বেগ, ক্ষতি, শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা সবই অনুভব করেছিলেন। তবুও তারা সেই সমস্ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন এবং সফলতার চূড়ায় পৌঁছেছিলেন।
তাদের জীবনের অভিজ্ঞতাগুলো আজও আমাদের জীবনের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তাঁদের কাহিনীতে আমরা পাই আশা, দয়া, ক্ষমা, ধৈর্য, জীবনের অর্থ—এবং সর্বোপরি, আল্লাহর প্রতি অটল, অদম্য বিশ্বাস ও ভরসা। জীবনের ঝড়ঝাপটায় সঠিকভাবে পথ চলতে হলে এটি আমাদের জন্য এক অসাধারণ দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ আমাদের কুরআন থেকে উপকার গ্রহণের তাওফিক দিন, এবং আমাদের জন্য সঠিক পথে অবিচল থাকা সহজ করে দিন। আমীন।
No Comment! Be the first one.